Sunday, February 21, 2016

ইয়ে আজাদি ঝুটা হৈ ।

 ভারতের স্বাধীনতা মিথ্যা বলে সত্যি কারের স্বাধীনতা ও গনতন্ত্রের জন্য সি পি আই তখন সমস্ত কমিউনিস্ট দের কাছে আহ্বান জানালো দেশের মিলিটানট ও অনেসট বিপ্লবী নিয়ে একটি United Demcratic Front গঠন করে তাঁরা যেন নেহেরু সরকারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন ।ডায়াকোভের ভাষায়
যে সরকার হল public enemy no 3 next to USA & Britain .
নেহেরু সরকারের বিরুদ্ধে এ ডাক সশস্ত্র বিপ্লবের ডাক । সি পি আই র দ্বিতীয় পার্টি কংগ্রেসই জনযুদ্ধ  খ্যাত পি সি যোশী পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন । তার জায়গায় বি টি রনদিভে সাধারন সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হলেন । রনদিভের চোখে তখন রুশ বিপ্লবের চেহেরা ভাসছে । ১৯১৭ সালে রাশিয়ায় প্রথম ফেব্রুয়ারি বিপ্লব । বুর্জুয়া গনতান্ত্রিক বিপ্লব ছিল তা । ক্ষমতা শেষ পর্যন্ত কেরেনস্কি র হাতে ।সে বিপ্লবের আট মাস পরে হয়েছিল অক্টোবর বিপ্লব । এই দ্বিতীয় বিপ্লবের ফলেই ক্ষমতায় এলো বলশেভিক দের হাতে । আর এই বিপ্লবের সফল পথিকৃৎ ভি আই লেনিন ।
রনদিভে আর তার সঙ্গীরা ভাবলেন নেহেরু হলেন ভারতের কেরেনস্কি । আর ১৫ আগস্ট হল সেই ফেরুয়ারি বিপ্লব । কাজেই রাশিয়ার অনুকরণে একটি সফল অক্টোবর বিপ্লবের সাহায্যে নেহেরু কে গদিচ্যুত করে কমিউনিস্ট দের ক্ষমতা দখল করার এই সুবর্ণ সুযোগ ।
কট্টর রুশ পন্থী ও লেনিন ,স্তালিন এর দৃষ্টান্ততে উদ্দীপ্ত রনদিভে তাই গেরিলা বাহিনী , শক বিগ্রেড প্রভৃতি গড়ে খণ্ড যুদ্ধের পরিবেশ তৈরি করলেন ।" He initated a programme of reckless violence and insurrection which amied at that overthrow of the India Govt."
নেহেরু সরকার বিরোধী এই কর্মসূচী গ্রহণ করার আগে রনদিভে বা সি পি আই একবার ভাল করে ভেবে দেখল না নেহেরু সম্পর্কে তাদের ঐ মুল্যায়ন সঠিক ছিল কিনা ?
নেহেরু কেরেনস্কি নন । তার নিজস্ব ভুল ত্রুটি যাই থাক না গান্ধীজী র আশীর্বাদ ধন্য নেহেরু যে নেতাজীর অভাবে তখন নেহেরু দেশের জনগনের সংগ্রামী প্রতীক হিসাবে গৃহীত হয়েছেন । নেহেরু একেবারে ভুই ফোড় নেতা নন । দেশের মাটির সাথে তার কিছুটা অন্ততঃ যোগ আছে । কমিউনিস্ট দের বিচারে তিনি সাম্রাজ্যবাদি দালাল । কিন্তু ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে দেশের লোকের তখন তার উপর আস্থা আছে । রাজনীতি তে সেটাই বড় পুঁজি ।
The embarked on a policy of armed insurrection
খণ্ড যুদ্ধ পর্ব কলকাতা ,মালাবার ,আমেদনগর উত্তর প্রদেশের পূর্বাঞ্চল ,অমৃতসর ,মনিপুর ইন্দো বর্মা সীমান্ত অন্ধ্র বিশেষ করে তেলে ঙ্গনা তে ছড়িয়ে পড়ে খণ্ড যুদ্ধ ।
জনযুদ্ধে ব্রিটিশ যুদ্ধে সময় সহযোগিতা করার জন্য ব্রিটিশ দের কাছ থেকে শিক্ষা প্রাপ্ত ভারতের কমিউনিস্ট গেরিলা রা তাদের সেই শিক্ষা শেষ পর্যন্ত তেলেঙ্গনা ভারতের স্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করল ।
রনদিভের কর্মসূচী তে শিল্প শ্রমিকের প্রধান্য থাকলে ও মুখ মুখো আন্দোলনের সঙ্গে সঙ্গে তরুণ কমিউনিস্ট দের নাকি দাঙ্গা হাঙ্গামা বাধাবার জন্যে শহরে তাদের নির্দেশ ছিল ।
তাই রনদিভে এই কর্মসুচি কে কেউ কেউ বলত Acid Bomb In City Phase বলতেন ।
হেমাঙ্গ বিশ্বাস এর একটি গান দিয়ে আমার লেখা টি শেষ করতে চাই ।
                             মাউনট ব্যাটন মঙ্গল কাব্য

মাউনট বেটন সাহেব ও
তুমার সাধের বেটন কার হাতে থুইয়া গেলায় ও
তুমার সুনার পুরী আন্ধার কইরা ও
তুমি কই চলিলায় ,
সাধের বেটন কার হাতে থইয়া গেলায় ও
সর্দার কান্দে , পণ্ডিত কাঁদে , কাঁদে মৌলানায় ,
কীরে হায় হায় হায়
আর মাথাইয়ে যে মাথা কুটে , বলদায় বুক থাপড়ায়
তুমার শ্যামা চেটী ভক্তবৃন্দে ও
তারা ধুলায় গড়া গড়ি যায় ,
সাধের বেটন কার হাতে থুইয়া গেলায় ও

ব্রাত্যজনের রুদ্ধ সংগীত ঃ দেব্ব্রত বিশ্বাস
পশ্চিম বঙ্গ কমিউনিস্ট পার্টি কে তখন বান করা হল । পশ্চিম বঙ্গ কেরলা অন্ধ্র রাজ্যে পার্টীর কাগজ গুলো বন্ধ করে দেওয়া হল প্রকাশনা । কালান্তর অফিসে তালা পড়ল । পার্টি যে সশস্ত্র বিদ্রোহ জন্য অস্ত্র শস্ত্র যোগার করছে রনদিভে প্রকাশ্যে কোন দিন স্বীকার করেন নি । তবে ১৯৪৮ সালে আগস্ট মাসে তিনি দলীয় সদস্য দের নির্দেশ দেন ছয় মাসের মধ্যে দেশ জোড়া এক ব্যপক শ্রমিক ধর্মঘট ও কিসান উত্থানের হবে ।
কমিউনিস্ট দের খণ্ড যুদ্ধ সব চেয়ে বেশী জোর ধরে ছিল তেলেঙ্গনা তে । সে এক লম্বা ইতিহাস ।





No comments:

Post a Comment