জাননগরের মাটিতে আমার জন্ম । এখান মাঠ , কালিন্দ্রি নদী , বারামাসিয়া খাল বিস্তীর্ণ আমবাগান তার মাঝে বড় হয়েছিলাম আমি । ঠাকুর বাড়ি সন্তান গ্রামে সবাই মান্য গণ্য করত ছিল একটা সুন্দর টিনের বাড়ি ।
এখানে ভোজগোবিন্দ ঝা নুরপুর থেকে রুকুন্দিপুর হয়ে জাননগরে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন আর এখান থেকে প্রতিদিন নুরপুর যেতেন । সেখানে তিনি হায়দার খাঁ দের জমিদারীর কাজ । একটি বলদ গাড়ি আর সঙ্গে থাকত পেয়াদা ২জন । চৌধুরী দের সাথে মামলায় ভালুয়ারা মৌজার অনেক জমি দখল করে নেয় ফলে এই অন্যায় মেনে নিতে না পারার জন্য তিনি মানসিক ভার সাম্য হারিয়ে ফেলেন তখন সংসারের দায়িত্ব নিয়ে ভাই বোন দের মানুষ করেছেন । তাদের সুখ দুঃখে তাদের পাশে পরিবার কে এগিয়ে নিয়ে গেছেন যুবক সুরেন্দ্রনাথ ঝা । মানুষ তাকে সুপন ঠাকুর নামে ডাকত । নুরপুরের কাজ কর্ম করে মাঝে মাঝে জাননগর গ্রামে যেতেন ।
তার পর জমিদারি প্রথা বিলোপের পর তার নুরপুরে আর থাকতেন না । তিনি জাননগরের বাড়িতে থাকতেন । পণ্ডিত ব্যক্তি হিসাবে তার পরিচিতি রতুয়া সামসি চাঁচল বাহারালে । সকালে উঠে তিনি স্নান করে গীতা পাঠ তার নিত্য পাঠ্য , করতেন রতুয়া বাজারের দুর্গা মন্দিরে নিত্য পুজা ।
১৯৭৩ সালে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যান সুরেন্দ্রনাথ ঝা ।
এখানে ভোজগোবিন্দ ঝা নুরপুর থেকে রুকুন্দিপুর হয়ে জাননগরে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন আর এখান থেকে প্রতিদিন নুরপুর যেতেন । সেখানে তিনি হায়দার খাঁ দের জমিদারীর কাজ । একটি বলদ গাড়ি আর সঙ্গে থাকত পেয়াদা ২জন । চৌধুরী দের সাথে মামলায় ভালুয়ারা মৌজার অনেক জমি দখল করে নেয় ফলে এই অন্যায় মেনে নিতে না পারার জন্য তিনি মানসিক ভার সাম্য হারিয়ে ফেলেন তখন সংসারের দায়িত্ব নিয়ে ভাই বোন দের মানুষ করেছেন । তাদের সুখ দুঃখে তাদের পাশে পরিবার কে এগিয়ে নিয়ে গেছেন যুবক সুরেন্দ্রনাথ ঝা । মানুষ তাকে সুপন ঠাকুর নামে ডাকত । নুরপুরের কাজ কর্ম করে মাঝে মাঝে জাননগর গ্রামে যেতেন ।
তার পর জমিদারি প্রথা বিলোপের পর তার নুরপুরে আর থাকতেন না । তিনি জাননগরের বাড়িতে থাকতেন । পণ্ডিত ব্যক্তি হিসাবে তার পরিচিতি রতুয়া সামসি চাঁচল বাহারালে । সকালে উঠে তিনি স্নান করে গীতা পাঠ তার নিত্য পাঠ্য , করতেন রতুয়া বাজারের দুর্গা মন্দিরে নিত্য পুজা ।
১৯৭৩ সালে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যান সুরেন্দ্রনাথ ঝা ।
এর ১৯৭৩ সালে চলে এলাম সর্বক্ষণের কর্মী হিসাবে কমিউনিস্ট জীবন যাপন করব তাই কর্মক্ষেত্র হিসবে দুর্গাপুর কে বেছেনিলাম আর দুর্গাপুরের শ্রমিক আন্দলনে নিজেকে উৎসর্গিত করতে চেয়ে ছিলাম ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৭ আর ১৯৭৭ থেকে ১৯৯২ ৬ই ডিসেম্বর ভারতীয় জনতা পার্টি তে যোগ দান ।এই ইতিহাস বলার আগে ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত রতুয়ার বুকে ঝড়ের কৃষক যুব আন্দোলন গড়ার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করে ছিলাম । তার পর দুর্গাপুরে আমার জীবনে এল কল্পনা এল অনিরুদ্ধ তাদের নিয়ে আমি তৈরি করলাম আমার পরিবার । এখানে এল আমার জীবনে আঘাত মা কল্পনা কে মনে প্রানে মেনে না নেবার কারনে আমার মায়ের সাথে মতপার্থক্য কারনে আমার গ্রামে না যাবার কারনে আমার মাকে ভুলিয়ে পেতল কাঁসা বা রূপর বাসন ওই গ্রামে অসৎ কু চক্রী তার আত্মসাদ করেছে । আমি অনেক কিছু জানতাম তা সত্ত্বে মা যাতে কষ্ট না পায় তার জন্য অনেক আব্দার মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিলাম । শ্রেনি ত্যাগ করেই কমিউনিস্ট পার্টি তে এসেছিলাম , অনেক দিয়েছি তার বিনিময়ে পেলাম ৪৩ বছর পর আমার হারানো শিকড় খানি ।
আমার জন্মভুমি
No comments:
Post a Comment