Monday, February 22, 2016

তেলেঙ্গনা

পাকিস্থান প্রস্তাব সমর্থন করার মত হায়দ্রাবাদে রাজাকার দের সমর্থন করাও কমিউনিস্ট পার্টীর একটি ঐতিহাসিক কর্ম । ভারতীয় বাহিনী ১৯৪৮ এর ১৩ই সেপ্টেম্বর হায়দারাবাদে প্রবেশের সময় রাজাকার দের সাথে কমিউনিস্ট রাও তাদের পক্ষে দাঁড়ালেন । যুদ্ধে রাজাকার বাহিনীর পরাজয় হলেও , নিজামের হায়দারাবাদ ভারতের অঙ্গীভূত হলেও  কমিউনিস্টরা সেখানে হিট এন্ড রান রণকৌশল চালিয়ে যেতে থাকল । কমিউনিস্ট দের খণ্ড যুদ্ধ সেখান জোর পেয়েছিল এবং সেখানে তারা জমির মালিক ও সরকারি কর্মচারী দের হত্যা করে দখলীকৃত জমিতে কয়েক মাসের মধ্যেই কয়েক শ গ্রামীণ সোভিয়েত গঠন করা হয়েছিল । কমিউনিস্ট গেরিলা বাহিনী কয়েকটি জেলা পুরোপুরি দখল নেয় । মাদ্রাসের কিছু অংশ নিয়ে তেলেঙ্গনা রাষ্ট্রের পরিকল্পনা তাদের ছিল । আর কমিউনিস্ট দের তখন স্বপ্ন ছিল তাদের পরিকল্পিত তেলেঙ্গনা হবে ভারতের ইয়েনান যে খান থেকে চীন কমিউনিস্ট পার্টি গোঁটা দেশে ক্ষমতা দখল করে । তাই তারা ভাবতেন তেলেঙ্গনা থেকে তাদের বিপ্লব ছড়িয়ে দেবেন ।
তবে তেলেঙ্গনা সংগ্রাম শুরু হয়েছিল রনদিভে সাধারণ সম্পাদক হবার আগেই । ১৯৪৬ এর ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৪৮ এর ১৩ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে ২০০০ লোককে কমিউনিস্টরা নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করে । ২০ টি পুলিশ থানা আক্রমণ ,২৫০ বন্দুক ছিনতাই । অনেক গোলাজাত ফসল ধ্বংস করেছিল ।
ডাকাতি করে লক্ষ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেছিল ।
" everyday practical exercise on silent killing must be done "
comiunist crimes in Hyderabad Govt
এই সময় পশ্চিম বঙ্গে ডায়মন্ডহারবার এলাকাতে সি পি আই এর কংসারি হালদারের নেতৃত্বে মারদাঙ্গা , জোর করে জমি দখল এর বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছিল । নানা কারনে সারাদেশে ১৯৪৯ সালে দাড়ায় ২৫০০ বন্দি করা হয় কমিউনিস্ট দের । বন্দি মুক্তির কমিউনিস্টরা অনেক সভা সমিতি করেছে । জেলের ভিতরে কমিউনিস্ট বন্দিদের সাথে জেল অফিসার দের সাথে প্রায় হাঙ্গামা হত । সি পি আই এর সাথে আর সি পি আই এর পান্নালাল দাসগুপ্ত বারাসাত বসিরহাট এলাকাতে খণ্ড বিপ্লব করার স্বপ্ন দেখে । জেসব কারখানার কয়েক জন ব্রিটিশ অফিসারকে চুল্লিতে পুড়িয়ে মারা আর কয়েকটি ডাকাতি মধ্যে এদের কাজ ও প্রচেষ্টার সমাপ্তি হয় ।
১৯৪৯ সালে মহাচিন লাল চীনে পরিণত হল । রনদিভে লাল চীনের অভ্যুদয় এর সঙ্গে সঙ্গে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টীর পক্ষ থেকে বিজয়ী মাও সে তুং কে অভিনন্দন জানিয়ে বললেন " Victory of Marxism Leninism of the stalinist line "
উত্তরে মাও ঘোষণা করেন ও আশা প্রকাশ করেন বলেন "Indian too would be liberated by the commiunist party from the oppresion of Anglo American Imperialism .

Sunday, February 21, 2016

ইয়ে আজাদি ঝুটা হৈ ।

 ভারতের স্বাধীনতা মিথ্যা বলে সত্যি কারের স্বাধীনতা ও গনতন্ত্রের জন্য সি পি আই তখন সমস্ত কমিউনিস্ট দের কাছে আহ্বান জানালো দেশের মিলিটানট ও অনেসট বিপ্লবী নিয়ে একটি United Demcratic Front গঠন করে তাঁরা যেন নেহেরু সরকারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন ।ডায়াকোভের ভাষায়
যে সরকার হল public enemy no 3 next to USA & Britain .
নেহেরু সরকারের বিরুদ্ধে এ ডাক সশস্ত্র বিপ্লবের ডাক । সি পি আই র দ্বিতীয় পার্টি কংগ্রেসই জনযুদ্ধ  খ্যাত পি সি যোশী পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন । তার জায়গায় বি টি রনদিভে সাধারন সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হলেন । রনদিভের চোখে তখন রুশ বিপ্লবের চেহেরা ভাসছে । ১৯১৭ সালে রাশিয়ায় প্রথম ফেব্রুয়ারি বিপ্লব । বুর্জুয়া গনতান্ত্রিক বিপ্লব ছিল তা । ক্ষমতা শেষ পর্যন্ত কেরেনস্কি র হাতে ।সে বিপ্লবের আট মাস পরে হয়েছিল অক্টোবর বিপ্লব । এই দ্বিতীয় বিপ্লবের ফলেই ক্ষমতায় এলো বলশেভিক দের হাতে । আর এই বিপ্লবের সফল পথিকৃৎ ভি আই লেনিন ।
রনদিভে আর তার সঙ্গীরা ভাবলেন নেহেরু হলেন ভারতের কেরেনস্কি । আর ১৫ আগস্ট হল সেই ফেরুয়ারি বিপ্লব । কাজেই রাশিয়ার অনুকরণে একটি সফল অক্টোবর বিপ্লবের সাহায্যে নেহেরু কে গদিচ্যুত করে কমিউনিস্ট দের ক্ষমতা দখল করার এই সুবর্ণ সুযোগ ।
কট্টর রুশ পন্থী ও লেনিন ,স্তালিন এর দৃষ্টান্ততে উদ্দীপ্ত রনদিভে তাই গেরিলা বাহিনী , শক বিগ্রেড প্রভৃতি গড়ে খণ্ড যুদ্ধের পরিবেশ তৈরি করলেন ।" He initated a programme of reckless violence and insurrection which amied at that overthrow of the India Govt."
নেহেরু সরকার বিরোধী এই কর্মসূচী গ্রহণ করার আগে রনদিভে বা সি পি আই একবার ভাল করে ভেবে দেখল না নেহেরু সম্পর্কে তাদের ঐ মুল্যায়ন সঠিক ছিল কিনা ?
নেহেরু কেরেনস্কি নন । তার নিজস্ব ভুল ত্রুটি যাই থাক না গান্ধীজী র আশীর্বাদ ধন্য নেহেরু যে নেতাজীর অভাবে তখন নেহেরু দেশের জনগনের সংগ্রামী প্রতীক হিসাবে গৃহীত হয়েছেন । নেহেরু একেবারে ভুই ফোড় নেতা নন । দেশের মাটির সাথে তার কিছুটা অন্ততঃ যোগ আছে । কমিউনিস্ট দের বিচারে তিনি সাম্রাজ্যবাদি দালাল । কিন্তু ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে দেশের লোকের তখন তার উপর আস্থা আছে । রাজনীতি তে সেটাই বড় পুঁজি ।
The embarked on a policy of armed insurrection
খণ্ড যুদ্ধ পর্ব কলকাতা ,মালাবার ,আমেদনগর উত্তর প্রদেশের পূর্বাঞ্চল ,অমৃতসর ,মনিপুর ইন্দো বর্মা সীমান্ত অন্ধ্র বিশেষ করে তেলে ঙ্গনা তে ছড়িয়ে পড়ে খণ্ড যুদ্ধ ।
জনযুদ্ধে ব্রিটিশ যুদ্ধে সময় সহযোগিতা করার জন্য ব্রিটিশ দের কাছ থেকে শিক্ষা প্রাপ্ত ভারতের কমিউনিস্ট গেরিলা রা তাদের সেই শিক্ষা শেষ পর্যন্ত তেলেঙ্গনা ভারতের স্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করল ।
রনদিভের কর্মসূচী তে শিল্প শ্রমিকের প্রধান্য থাকলে ও মুখ মুখো আন্দোলনের সঙ্গে সঙ্গে তরুণ কমিউনিস্ট দের নাকি দাঙ্গা হাঙ্গামা বাধাবার জন্যে শহরে তাদের নির্দেশ ছিল ।
তাই রনদিভে এই কর্মসুচি কে কেউ কেউ বলত Acid Bomb In City Phase বলতেন ।
হেমাঙ্গ বিশ্বাস এর একটি গান দিয়ে আমার লেখা টি শেষ করতে চাই ।
                             মাউনট ব্যাটন মঙ্গল কাব্য

মাউনট বেটন সাহেব ও
তুমার সাধের বেটন কার হাতে থুইয়া গেলায় ও
তুমার সুনার পুরী আন্ধার কইরা ও
তুমি কই চলিলায় ,
সাধের বেটন কার হাতে থইয়া গেলায় ও
সর্দার কান্দে , পণ্ডিত কাঁদে , কাঁদে মৌলানায় ,
কীরে হায় হায় হায়
আর মাথাইয়ে যে মাথা কুটে , বলদায় বুক থাপড়ায়
তুমার শ্যামা চেটী ভক্তবৃন্দে ও
তারা ধুলায় গড়া গড়ি যায় ,
সাধের বেটন কার হাতে থুইয়া গেলায় ও

ব্রাত্যজনের রুদ্ধ সংগীত ঃ দেব্ব্রত বিশ্বাস
পশ্চিম বঙ্গ কমিউনিস্ট পার্টি কে তখন বান করা হল । পশ্চিম বঙ্গ কেরলা অন্ধ্র রাজ্যে পার্টীর কাগজ গুলো বন্ধ করে দেওয়া হল প্রকাশনা । কালান্তর অফিসে তালা পড়ল । পার্টি যে সশস্ত্র বিদ্রোহ জন্য অস্ত্র শস্ত্র যোগার করছে রনদিভে প্রকাশ্যে কোন দিন স্বীকার করেন নি । তবে ১৯৪৮ সালে আগস্ট মাসে তিনি দলীয় সদস্য দের নির্দেশ দেন ছয় মাসের মধ্যে দেশ জোড়া এক ব্যপক শ্রমিক ধর্মঘট ও কিসান উত্থানের হবে ।
কমিউনিস্ট দের খণ্ড যুদ্ধ সব চেয়ে বেশী জোর ধরে ছিল তেলেঙ্গনা তে । সে এক লম্বা ইতিহাস ।





Saturday, February 20, 2016

বিপ্লবী কে ?

বিপ্লবী কে ? বিপ্লবী হচ্ছে সে ---যে সমস্যা দেখে অন্যের কাছে ছুটে যায় না । নিজেই সমস্যার সমাধান করে এবং নেতৃত্ব দেয় ।
ভুল হবে বলে আমরা ভয় পাই না । নতুন পথে নতুন চিন্তা তাই ভুল হওয়াটা স্বাভাবিক । আমরা কাজ করতে গিয়ে ভুল করি এবং তা থেকে শিক্ষা নিই । কিন্তু ভুলের ভয়ে কখনোই কাজ কে ভয় করি না ।
যে স্বপ্ন দেখে না এবং অন্যকে স্বপ্ন দেখাতে পারে না সে বিপ্লবী হতে পারে না ।


বিপ্লবী জীবনের স্বপ্ন নিয়ে দেশে সমাজ তন্ত্র  প্রতিষ্ঠা স্বপ্ন তখন চোখে মুখে স্কুল জীবনে তাত্ত্বিক আলোচনা শ্রেণী সংগ্রাম , রাষ্ট্রের শ্রেণী চরিত্র , বিপ্লবী শক্তি আর তার সহযোগী শক্তি নিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের ভাবনা । কি করে জনগণতান্ত্রিক বিপ্লব সমাধা করে সমাজতান্ত্রিক পথ ধরে আমরা কমিউনিজম প্রতিষ্ঠা করব । কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন ও পূর্ব ইউরোপে ঘটনাবলী চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে মানব মুক্তির পথ মার্ক্সবাদ নয় । আর সেই পথ একাত্ম মানবতাবাদ যা ভারতের সভ্যতা সংস্কৃতি থেকে রসদ নেবে ।
ভারতের ইতিহাস , পরম্পরা হাজার হাজার বছরের এ দেশ পরিচালিত ধর্মের নির্দেশে ।

কমিউনিস্টদের পুরানো ধ্যান ধারনার অবসান ঘটানো প্রয়োজন

আজ সি পি এম বলছে তৃণমূল কে পরাস্ত করতে এবং বি জে পি কে বিচ্ছিন্ন করতে সি পি এম সমস্ত গনতান্ত্রিক শক্তির সহযোগিতা চাইবে , যাতে মানুষের জোট আরও মজবুত হয় । সাম্পদায়িকতা ও স্বৈরতান্ত্রিক শাসন প্রতিহত করতে বৃহত্তর ঐক্যই এখন মানুষের চাহিদা । সেই চাহিদা পুরন করতে না পাড়লে ইতিহাস ক্ষমা করবে না ।
আজ আমার সইফুদ্দিন চৌধুরী কথা মনে পড়ছে । মালদা থেকে দুর্গাপুরে বসবাস আর রাজনীতি করতে শুরু করলাম তখন বর্ধমান জেলার যুবক আদর্শ সইফুদ্দিন চৌধুরী অর্থাৎ সফিদা । পথ খুজতে  আমি ও সফি দার মত নিজের মত করে পথ খুজছিলাম । পথ সম্পর্কে তার মতামত এর সাথে একমত না হলেও তার এই অভিমতের সাথে আমি একমত "কমিউনিস্ট দের পুরানো ধ্যান ধারনার অবসান ঘটানো প্রয়োজন । গনতন্ত্রের পথের সঠিক মুল্যায়ন করে , মানুষ কি চাইছে তা বুঝে  কমিউনিস্ট দের এগোতে হবে ।" 

সফি দা বছর কয়েক আগে মারা গেছেন । তিনি দিল্লি তে থাকতেন সোশাল মিডিয়া ফেস বুকে মাধ্যমে সম্পর্ক রাখতাম মতামত নিতাম । কমিউনিস্ট পার্টীতে সফিদা নাকি কংগ্রেসের লোক  কান্সারের চেয়ে বেশি যন্ত্রণা তার পার্টির সি পি এম এর ব্যবহার । সন্মান জনক বিচ্ছেদ এর পথ নিয়েছিলেন গড়ে একটি রাজনৈতিক দল ।
ভারতের রাজনীতি তে সাম্প্রদায়িক শক্তি কে রুখতে কংগ্রেস এর সাথে জোট বাধার কথা বলেছিলেন সফিদা আমার মনে হয়েছিল কম্যুনিস্ট দর্শন এর মধ্যেই গলত লুকিয়ে আছে । এর সমাধান একমাত্র জাতীয়তাবাদ তাই আমি ভারতীয় জনতা পার্টি তে যোগ দিলাম ।
সে দিন সফিদা লিখেছিলেন " আমি বলেছিলাম ক্ষমতায় না থাকলে ও দেশের প্রধান বিপদ সম্প্রদায়িকতা । অজস্র দুর্বলতা নিয়ে কংগ্রেসের বিপদ তার পরে ।  আজ সূর্যকান্ত মিশ্র যে কথা বলছেন তা সেদিনের সফিদা কথার অদ্ভুত মিল ।
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর তৎকালীন কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে আপত্তি করে করেছিলেন । তিনি বলেছিলেন এতে বি জে পি সুবিধা হবে ।
এই কথা বলার জন্যে তাকে ১৯৯৫ সালে চণ্ডীগড় পার্টি কংগ্রেস এ তাকে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয় । তাকে ধরানো হয় একাধিক শো কজ নোটিশ । ২০০০ সালে হল বিচ্ছেদ । গড়ে তুললেন পি ডি এস । সম্প্রদায়িক ও স্বৈরতান্ত্রিক সব সময় বিপজ্জনক এটা বিশ্বাস করতেন সইফুদ্দিন চৌধুরী এবং তিনি মনে করতেন ধর্মনিরপেক্ষ গনতান্ত্রিক শক্তি কে নিয়ে গণতান্ত্রিক কমিউনিস্ট পার্টি গড়তে ।
এক্ষেত্র আমার ভাবনা একেবারে বিপরীত আমি মনে করি জাতীয়তাবাদ ও আমাদের দেশের সভ্যতা সংস্কৃতি র আধার শিলার উপর গড়ে উঠবে আমাদের ভারতবর্ষ ।  সি পি এম বন্ধুরা অতীতের স্মৃতি রমন্থন করলাম মাত্র । আমি চললাম আমার পথে আর সফি দা পথের সন্ধানে
শুরু হল পথের সন্ধান 

Thursday, February 18, 2016

আবেগ আর বাস্তব

জাননগরের মাটিতে আমার জন্ম । এখান মাঠ , কালিন্দ্রি নদী , বারামাসিয়া খাল বিস্তীর্ণ আমবাগান তার মাঝে বড় হয়েছিলাম আমি । ঠাকুর বাড়ি সন্তান গ্রামে সবাই মান্য গণ্য করত ছিল একটা সুন্দর টিনের বাড়ি ।

এখানে ভোজগোবিন্দ ঝা নুরপুর থেকে রুকুন্দিপুর হয়ে  জাননগরে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন  আর এখান থেকে প্রতিদিন নুরপুর যেতেন । সেখানে তিনি হায়দার খাঁ দের জমিদারীর কাজ । একটি বলদ গাড়ি আর সঙ্গে থাকত পেয়াদা ২জন । চৌধুরী দের সাথে মামলায় ভালুয়ারা মৌজার অনেক জমি দখল করে নেয় ফলে এই অন্যায় মেনে নিতে  না পারার জন্য  তিনি মানসিক ভার সাম্য হারিয়ে ফেলেন তখন সংসারের দায়িত্ব নিয়ে ভাই বোন দের মানুষ করেছেন । তাদের সুখ দুঃখে তাদের পাশে পরিবার কে এগিয়ে নিয়ে গেছেন যুবক সুরেন্দ্রনাথ ঝা । মানুষ তাকে সুপন ঠাকুর নামে ডাকত । নুরপুরের কাজ কর্ম করে মাঝে মাঝে জাননগর গ্রামে যেতেন ।
তার পর জমিদারি প্রথা বিলোপের পর তার নুরপুরে আর থাকতেন না । তিনি জাননগরের বাড়িতে থাকতেন । পণ্ডিত ব্যক্তি হিসাবে তার পরিচিতি রতুয়া সামসি চাঁচল বাহারালে । সকালে উঠে তিনি স্নান করে গীতা পাঠ তার নিত্য পাঠ্য , করতেন রতুয়া বাজারের দুর্গা মন্দিরে নিত্য পুজা ।
১৯৭৩ সালে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যান সুরেন্দ্রনাথ ঝা ।



এর ১৯৭৩ সালে চলে এলাম সর্বক্ষণের কর্মী হিসাবে কমিউনিস্ট জীবন যাপন করব তাই কর্মক্ষেত্র হিসবে দুর্গাপুর কে বেছেনিলাম আর দুর্গাপুরের শ্রমিক আন্দলনে নিজেকে উৎসর্গিত করতে চেয়ে ছিলাম ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৭ আর ১৯৭৭ থেকে ১৯৯২ ৬ই ডিসেম্বর ভারতীয় জনতা পার্টি তে যোগ দান ।এই ইতিহাস বলার আগে ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত রতুয়ার বুকে ঝড়ের কৃষক যুব আন্দোলন গড়ার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করে ছিলাম । তার পর দুর্গাপুরে আমার জীবনে এল কল্পনা এল অনিরুদ্ধ তাদের নিয়ে আমি তৈরি করলাম আমার পরিবার । এখানে এল আমার জীবনে আঘাত মা কল্পনা কে মনে প্রানে  মেনে না নেবার কারনে আমার মায়ের সাথে মতপার্থক্য কারনে আমার গ্রামে না যাবার কারনে আমার মাকে ভুলিয়ে পেতল কাঁসা বা রূপর বাসন ওই গ্রামে অসৎ কু চক্রী তার আত্মসাদ করেছে । আমি অনেক কিছু জানতাম তা সত্ত্বে মা যাতে কষ্ট না পায় তার জন্য অনেক আব্দার মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিলাম । শ্রেনি ত্যাগ করেই কমিউনিস্ট পার্টি তে এসেছিলাম , অনেক দিয়েছি তার বিনিময়ে পেলাম ৪৩ বছর পর আমার হারানো শিকড় খানি ।
আমার জন্মভুমি