Monday, November 30, 2015

যুগল কিশোর ঝা : দেশ বিভাগের কলঙ্ক জনক ইতিসাসের সাক্ষী কাশ্মীর ।

যুগল কিশোর ঝা : দেশ বিভাগের কলঙ্ক জনক ইতিসাসের সাক্ষী কাশ্মীর ।: {এই লেখাটি আগামী দিন পত্রিকা তে ৪/৩ /১৯৯৪ প্রকাশিত আনিরুদ্ধ উপাধ্যায় ছদ্ম নামে । কমিউনিস্ট পারটি ছাড়ার পর প্রিন্ট মিডিয়াতে আমার এই লেখাটি  ...। এই খানে আমার মতাদর্শ । সোভিয়েত রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপের কমিউনিস্ট অবসানের পর ভাবতে শুরু করলাম । আর সেই ভাবনার ফসল আমার মতাদর্শ ।

হিংসা মুক্ত ,জটিলতা মুক্ত সুস্থ সমাজ গড়ার জন্যে রাজনীতিতে এসেছিলাম । সমাজ কোন দর্শনের উপর প্রতিষ্ঠিত হয় । তার মূল্যবোধ সৃষ্টি করে । মূল্যবোধ অর্থনীতিকে প্রভাবিত । চিন্তা শীল মানুষ হিসাবে কোন দর্শন বেছে নেয় । তাই জীবনের শুরু তে মার্কসের মতবাদের প্রতি আকর্ষিত হয়েছিলাম  । তবে গ্রন্থ বা আধ্যাত্মিক পরিবেশ আমাদের পরিবারে ছিল । সেই মৈথিল পরিবারে জন্ম নেয়া সত্ত্বে আমি সি পি আই { এম } পার্টী তে যোগদান করি । জীবনের দীর্ঘ পথ ৬৬ থেকে ৯২ পর্যন্ত সাচ্চা কমিউনিস্ট হিসাবে নিজেকে গড়ে তোলার সাধ্য মত চেষ্টা করেছি কিন্তু সেই কমিউনিস্ট পার্টী ত্যগ করে একাত্ম মানবতাবাদের পথ ভারতের জনতা পার্টী তে যোগ দিই । কেন ? প্রশ্নের উত্তর আমাকে দিতে হবে ।
এক্ষেত্রে আমার পরিবার প্রভাব আমার অজান্তে হলেও থাকতে পারে । কারন আমি আমার বাবাকে দেখেছি ধর্মের প্রতি কি অগাধ বিশ্বাস । কিন্তু গোটা জীবন নুরপুরে জমিদার খাঁ দের জমিদারী ও মুসলমান প্রজা দের মাঝে কাজ করলেও তিনি তার বিশ্বাস নিয়ে চলতেন । অবাক হয়ে যেতাম তিনি চণ্ডী ও গীতা পাঠ ছাড়া দৈনিক কাজ শুরু করতেন না । প্রতিদিন ভোর ৪তে উঠে নিত্য পুজা পাঠ করে জমিদারীর কাজে বেরতেন । তার একমাত্র সন্তান শ্রেনি স্বার্থ ত্যাগ করে সর্বহারা শ্রেনির পার্টীতে যোগ দিক বা কাজ ক্রুক এটা না চাইলে ও তিনি কোনদিন বাধা দেননি । কমিউনিস্ট লক্ষ্য সমাজতান্ত্রিক সমাজ হয়ে সাম্যবাদী সমাজে সমাজে নিয়ে যাওয়া আর মানুষ সমাজ তার ক্ষমতা অনুযায়ী সমাজকে সমাজ তার কাজ অনুসারে ন্যায় সঙ্গত পাওনা পাবেন । আর সাম্যবাদী সমাজে প্রত্যেকটি মানুষ তার ক্ষমতা অনুযায়ী সমাজকে দেবেন । সমাজ তাকে তার প্রয়োজন মত সব কিছু দেবে।
মার্কস লেনিন স্তালিন মাও চে গুয়েভারা হচিমিন প্রজ্ঞা লব্ধ জ্ঞান আমরা ভারতে কমিউনিস্ট রা এদেশের মানুষের মুক্তি সংগ্রাম শুরু করে ছিলাম । আন্তর্জাতিক আন্দোলনের অংশ হিসাবে এদেশের কমিউনিস্টরা কাজ শুরু করেছিল । অনেক দীর্ঘ পথ বয়ে বাঁকে বাঁকে মোড়ে মোড়ে হয়েছে ভুল ভ্রান্তি সংশোধন বা বিকল্প পথের অনুসন্ধান করে নি । আমি সোভিয়েত রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপের ঘটনাবলী আমাকে পথ খুঁজতে সাহায্য করেছিল ।
আদর্শের খোজে 
বিশ্ব একতা, বিশ্বজনীন কল্যাণের কথা শুধু আধুনিক চিন্তাবিদ রা করেছেন তা না ভারতের মুনি ঋষি রা আধুনিক কাল সুচনা হবার অনেক আগে গভীর ভাবে চিন্তা ভাবনা করেছে ।
সবাই সুখী হন সবাই নীরোগী হন । সর্বাধিক লোকের জন্যে সর্বাধিক কল্যাণের আদর্শের উরধে উঠতে পারেনি সেখানে আমরা একজন মানুষ এমনকি একটি জীবন্ত প্রাণীর দুর্দশা মেনে নেয় নি । 
জাতীয় বাদ বাদ দিয়ে কোন জাতি গড়ে উঠতে পারে না । আজ জনগণের মাঝে জাতীয়তা বোধ জাগ্রত করা দরকার । বহু কালের আনুগত্য কে আবাহন পূর্ব পুরুষদের কথা স্মরণ করে  মাতৃ ভুমি ,সমাজ্‌ রাষ্ট্র ভাবনা থেকে উপলব্ধ ঐ তিহ্য এর প্রতি নিষ্ঠা ব্যক্তিকে প্রকৃত কর্ম ও ত্যাগে অনুপ্রাণিত করে । 
সমাজ কে যখন একটি জীবন্ত যৌথ দেহ বলে দেখা হবে । ব্যক্তি তার একটি অঙ্গ শুধু তখনই তার মধ্যে ঐক্য সাধন কারী সমাজ চেতনা প্রগাঢ়ভাবে বদ্ধ মুল হবে । তখনই সে নিজের অস্থির ভাবাবেগ গুলিকে নিয়ন্ত্রন করতে পাড়বে এবং সমাজের স্বার্থে র সঙ্গে ঐ গুলিকে সংগতি সাধনে সক্ষম হবে । এটাই হিন্দু দর্শন উপস্থাপন করে । 
পাশ্চাত্য শ্বেতাঙ্গ রা যেখানে গেছে আমেরিকা আফ্রিকা অস্ট্রেলিয়া তারা নর হত্যা ও ধ্বংসলীলা ব্যাপক চিনহ পিছনে ফেলে রেখে গেছে । কমিউনিস্ট চীন রাশিয়া তে সেখানে তাদের লক্ষ্য "জীবন যাপনের মান উন্নত করা "
সকলেই জানে জীব মাত্রের মুল প্রেরনা হল সুখ লাভের চেষ্টা করা । মানুষ তার বাইরে নয় । মানুষ সুখী হতে চায় একদিন দুইদিন নয় অব্যাহতভাবে সারাজীবন ধরে । আন্যান্য জীবের মত মানুষ ও তার ইন্দ্রিয় গুলির সাহায্যে সুখ ভোগ করে । সর্ব প্রথম আসে দৈহিক ও মানসিক ক্ষুধা । এই ক্ষুধা নিবারণের জন্যে প্রতিযোগিতা ,উন্নয়ন যে নামে ডাকি না কেন । সুখ অনিত্য ।
ইন্দ্রিয় সুখের দ্বারা বাসনার পরিতৃপ্তি হয় না । মন যখন শান্ত হয় তখন মানুষ তার অন্তরের গভীরে নিহিত সত্যকে অনুভব করতে সক্ষম হয় ।মন যতদিন চঞ্চল থাকবে ততদিন প্রকৃত সত্য খুঁজে পাওয়া যাবে না । 
মানুষ যখন বস্তু জগতের প্রতি আসক্তি থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত করতে সক্ষম হবে তখনই সে মুক্তির সর্ব উৎকৃষ্ট অবস্থা লাভ করবে । ব্যক্তিকে আর আনন্দের সন্ধানে বাইরের জগতে দৌড়াদৌড়ি করবে না । তখন আর দৈহিক বা পার্থিব কামনা নিবৃত্তি আকুলতা তার থাকবে না । কামনা গুলি তাকে অস্থির করে তুলতে পারে না । নিজ অন্তরের মধ্যে সত্য ও চিরন্তন আনন্দ এবং পরম সুখের নির্ঝর রের উৎস আবিষ্কার করতে পারে । এই সুখ হবে নিত্য ও বন্ধনহীন , যার তুলনায় বাহ্য উপকরণ থেকে লব্ধ আনন্দ তার কাছে তুচ্ছ ও অকিঞ্চিৎকর 
বলে প্রতিভাত হবে । এটাই হল মানুষের অভিপ্রেত সর্ব উচ্চ অবস্থা । মানুষকে প্রয়াস করে এই অবস্থাই উপনীত হবে । ঈর্ষা ঘৃণা ও হিংসা নিয়ে কোনদিন মানুষের মনে স্থিরতা ও প্রশান্তি আনতে পারে না । পতঞ্জলি তার যোগ সুত্রে উপদেশ দিয়ে বলেছেন অন্যদের সম্পত্তি বান ,সুখী ,নৈতিক উৎকর্ষ সম্পন্ন প্রশংসনীয় গুন সম্পন্ন দের প্রতি ঈর্ষা না করে প্রশংসা করা উচিত । আমরা যেন নিজস্ব প্রয়াসে মাধ্যমে উন্নতি লাভ করি । তার জন্য আমরা যেন প্রতিযোগিতা বা হিংসার বশীভূত না হয় ।
জীবনের লক্ষ্য ধর্ম অর্থ কাম মোক্ষ তুলে ধরে আত্ম সংযম , ভার সাম্য যুক্ত সুস্থ সমাজ জীবন যাপন করবে । এই ব্যবস্থা মানুষের কর্তব্য ও দায়িত্ব নির্ধারিত করে দেবে ।  আচরণের নিয়ম যার সাহায্যে মানুষ পরম সুখ লাভ করতে পারে । আর সেই ধর্ম জীবনের যাবতীয় পার্থিব বিষয় গুলি নির্দেশিত পথে চলবে ও নিয়ন্ত্রণ করবে । রাজনীতি ,অরথনিতি, ও দৈহিক কামনা বাসনা গুলিকে ।

No comments:

Post a Comment