আমার জীবনের এক স্মরণীয় দিন । আমার পৈতার পর কোন মাঙ্গলিক কাজ হয় নি এই কাজের মধ্য দিয়ে আমি সেই কাজ সম্পন্ন করলাম অবশ্য তার আগে মা মারা যাবার গয়া তীর্থে ফল্গু নদীর অক্ষয় বট গাছের নিচে আর গদাধরের স্যামনে তার পর প্রেত শিলা তে । সে অন্য প্রসঙ্গ আর বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা সময়ে লেখার বাসনা রইল ।
এখান থেকে আমি করলাম এক ন্তুন জীবন । চির কুমার থেকে দেশে র কমিউনিস্ট পার্টির কাজে নিয়োজিত স্বপ্ন দেখা থেকে সরে এলাম । কল্পনা আরার জীবনে এল । সে সমস্ত বাধা বিপদ অতিক্রম করে আমার সাথে এলো । তার সাহস আর বিশ্বাস আমাকে প্রেরণা যোগায় সে আমার প্রেরনা উৎস ।
কিন্তু আমি যে দূর ভাগ্যের শিকার হতে চলেছি কারন আমার মায়ের আচার আচরণে বুঝতে পারছি কারন আমাদের পরিবারের ক্ষতি করতে চাই এমন কিছু চক্রান্ত কারির ফাঁদে পা দিয়েছে আজ ৩৫ বছর পরে সেই ঘটনা আমি ভুলতে পারছি না । এক মর্মান্তিক পারিবারিক বিপর্যয় আর সেটা ডেকে এনেছে আমার মা । বাবা যত দিন বেচে ছিল ভয়ে ঠিক থাকত । তার পর এই বেপরোয়া বে হিসাবি মহিলা যে সুরেন্দ্র নাথ ঝা অগাধ সম্পত্তি ধ্বংস করেছে তার উত্তাল জীবনে শান্তির আশা আর রাজনৈতিক মতাদর্শ এর টানে এসেছিলাম । দুর্গাপুর আমাকে টেনে এনেছিল তার সংগ্রামী ভুমিকা
আর এখানে হয়ত এখানে ভুল করেছি , শ্রেণী চ্যুত হবার ভাবনা আমার সম্পত্তি সম্পর্কে বিভ্রান্ত করে ছিল উৎপাদনের উপায়ের মালিকানা ক্ষেত্রে সামাজিক মালিকানার ভাবনা ব্যর্থ সোভিয়েত , পূর্ব ইউরোপ বা আফগানিস্তান বা চিনের ঘটনা প্রমান করে ।
আমার মা
তারা দেবী জন্ম কটিহার জেলার বুধনগর গ্রামে দুই জন রাজপুত আর তিন জন মৈথিল পরিবার । শ্রি মহন ঝা এক তান্ত্রিক ব্রাম্ভন তার দুই ছেলে তিন মেয়ে । তার বড় তারা দেবী । জাননগর জোতদার আর নুরপুরের পাঠান জমিদার দের নায়েব সুরেন্দ্রনাথের প্রথম পত্নী বিয়োগের পর ছোট ভাই এর জেদা জেদি তে সাঁওতাল মুষড় অধ্যুষিত এলাকা মেয়েক । কারন দয়া নাথ তার প্রয়োজনে এই কাজ করে কারন সে পুরনিয়া তে বিহার পুলিশে পোস্টইং । এক প্রকার বাধ্য হয়ে বিয়ে করলেন কিন্তু তার চিন্তা ভাবনা তার থেকে লক্ষ মাইল দুরে । যতদিন জমিদারি কাজে হয়ত ব্যস্ত থাকার ফলে বিষয় ধরতে পারেন নি । জমিদারির কাজ থেকে অবসর নেবার পর বুঝতে পারেন এই দেব তুল্য মানুষ টি
সুরেন্দ্রনাথ ঝা জাননগর রতুয়া মালদহ
তার পর
নেমে এল আমার বিপর্যয়
মা কল্পনা মেনে নিতে পারে নি ।